আপনার ফোন📱 দিনে দিনে স্লো হয়ে যাচ্ছে? এই ৩টি সেটিংস ⚙️ একবার বন্ধ করুন ❌ — নিজেই পরিবর্তন টের পাবেন!
আমরা অনেকেই দিনের বড় একটা সময় স্মার্টফোনে কাটাই — কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া, গেম, ভিডিও ইত্যাদি নানা কারণে। কিন্তু কিছুদিন পর পরই দেখি আমাদের ফোন আগের মতো পারফর্ম করছে না। একটু একটু করে ফোন স্লো হয়ে যায়, অ্যাপ ওপেন হতে সময় লাগে, ফোন হ্যাং করে কিংবা ব্যাটারির চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়। আপনি কি এমন সমস্যায় পড়েছেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে আজকের এই লেখা আপনার জন্য।
এখানে আলোচনা করবো এমন ৩টি গোপন সেটিংস, যেগুলো বন্ধ করে দিলে আপনি খুব সহজেই আপনার ফোনের স্পিড কিছুটা হলেও বাড়াতে পারবেন। ভালো কথা, এই ট্রিকগুলো কোনো অ্যাপ বা রুট ছাড়াই করা যাবে।
১. Auto Sync বন্ধ করুন
অনেক অ্যাপ যেমন Gmail, Google Photos, Facebook, WhatsApp ইত্যাদি ব্যাকগ্রাউন্ডে নিজে থেকেই ডেটা আপডেট করতে থাকে। এটি ফোনের RAM এবং প্রসেসর ব্যবহার করে, ফলে পারফরম্যান্স কমে যায়।
যেভাবে বন্ধ করবেন:
Settings > Accounts > Auto Sync Data > Turn Off
এতে আপনার ফোন ব্যাকগ্রাউন্ডে কম কাজ করবে, ফলে RAM খালি থাকবে এবং ফোন স্লো হওয়ার প্রবণতা কমবে।
২. Animations Scale কমিয়ে দিন
ফোনের মধ্যে যেসব গ্রাফিক্যাল অ্যানিমেশন চলে, যেমন অ্যাপ ওপেন/ক্লোজ করার সময় ছোট ছোট মুভমেন্ট — এগুলো দেখতে ভালো লাগলেও ফোনের প্রসেসরে চাপ ফেলে।
যেভাবে বন্ধ করবেন:
Settings > About Phone > Build Number-এ ৭ বার ট্যাপ করে Developer Mode চালু করুন
Developer Options > Window animation scale, Transition animation scale, Animator duration scale → সবগুলোতে Off বা .5x করে দিন
ফলাফল? ফোন আগের চেয়ে অনেক দ্রুত রেসপন্স করবে।
৩. Background Apps বা Battery Optimization ব্যবহার করুন
অনেক সময় আমরা অ্যাপ বন্ধ না করেও ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে দেই। ফলে সেগুলো ব্যাটারি এবং RAM দুটোই খরচ করে।
যেভাবে বন্ধ করবেন:
Settings > Battery > Battery Usage > Unused Apps > Restrict Background Activity
অথবা
Settings > Apps > Specific App > Battery > Optimize
এভাবে আপনি অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড কাজ বন্ধ করে রাখতে পারবেন।
শেষ কথা:
ফোন স্লো হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। তবে কিছু ছোটখাটো সেটিংস পরিবর্তন করেই আপনি ফোনের গতি বাড়াতে পারেন, ব্যাটারি ব্যাকআপ পেতে পারেন এবং অভিজ্ঞতা আরও স্মার্ট করতে পারেন।
এই ৩টি সেটিংস পরিবর্তন করার পর আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। চেষ্টা করে দেখুন, আর যদি উপকার পান — বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন!
আরও এমন টিপস পেতে আমাদের পেজ Mobile Fix Guide-এ যুক্ত থাকুন!