গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঘুস হিসেবে এসি নেওয়ার একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের বরাশুর এলাকার ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও এসি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসি শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে।
২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, ওসি শফিউদ্দিন খান ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের কাছ থেকে শার্প অথবা এনার্জি প্যাক ব্র্যান্ডের দুই টনের একটি এসি কিনে দেওয়ার কথা বলেন। গোপালগঞ্জে না পাওয়া গেলে ঢাকা থেকে কিনে এনে দিতে বলেন তিনি।
তবে কল রেকর্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেন ওসি। তার দাবি, কেউ ষড়যন্ত্র করে এসব করেছেন।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গোপালগঞ্জ শহরের এলজি-বাটারফ্লাই কোম্পানির শোরুমের মেমো থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ জাকির নিজ নামে ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে এলজি ব্র্যান্ডের একটি এসি কেনেন।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জানান, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওসি। শুধু তাই নয়, ৫০ হাজার টাকার মাছও ঘুস নিয়েছেন। গত ২৩ মার্চ আবারও মামলার ভয় দেখিয়ে এক লাখ ৬৬ হাজার টাকার এসি কেনান। তিনি নিজে গোপালগঞ্জ এলজির শোরুমে গিয়ে পছন্দ করে নিয়েছেন এবং থানায় তার ব্যক্তিগত কক্ষে লাগিয়েছেন।