নির্বাচন আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত সময় নেওয়া যাবে না

News
0


 বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা ও প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত সময় নেওয়া যাবে না; তবে নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন আয়োজনের আগে তিনটি বাধ্যতামূলক শর্ত পূরণ করতে হবে:


দৃশ্যমান ও গ্রহণযোগ্য মৌলিক সংস্কার: তিনি বলেন, অতীতে যে নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন।


বিচার নিশ্চিতকরণ: তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে সংঘটিত সহিংসতা ও গণহত্যার বিচার না হলে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব নয়।


রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সম্মান ও সংলাপ: তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়।


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত সময় নির্ধারিত হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এই সময়সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। তিনি বলেন, আগামী রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা দেশের জন্য উপকারী হবে, কারণ বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্বাচন আয়োজন কঠিন হতে পারে।


সম্প্রতি ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য সফরে ডা. শফিকুর রহমান ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি তাদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা বজায় রেখে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান। তবে তিনি মনে করেন, এজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক সম্মান ও সংলাপের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top