ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও, দিল্লি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আঞ্চলিক বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে। ঢাকা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সুতা আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরায় জোরদার করা। এছাড়া, ভারত বাংলাদেশের জন্য ২০২০ সালে চালু করা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে, যা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি তাদের নিজস্ব বন্দরগুলোর জট কমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে, এবং এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নয়। তারা আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষায় ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান উত্তেজনা সত্ত্বেও, উভয় পক্ষের উচিত সংলাপ ও কূটনৈতিক মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজা, যাতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হয়।
সার্বিকভাবে, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করতে আগ্রহী, এবং বর্তমান উত্তেজনা নিরসনে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার প্রয়োজন রয়েছে।