বাঁধ ভেঙে ভেসে গেল ৭ গ্রামের ঈদ আনন্দ

News
0


 সাতক্ষীরার আশাশুনিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙে সাত গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা মাছের ঘের ও বোরো ধানের ক্ষেত ভেসে গেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকালের এই ঘটনায় এলাকাবাসীর ঈদের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওযায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন এলাকায় বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।

সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা না আসায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসার শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুস জানান, ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গাজীবাড়ী পর্যন্ত ডিপিএম প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের কাজ করছিলেন স্থানীয় ঠিকাদার শওকত হোসেন। 

সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঈদের নামাজ শেষে তারা জানতে পারেন, আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়িঘেরের বাসার কাছ থেকে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে দেড় শত ফুটের মতো বেড়িবাঁধ ভেঙে খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 
বিষয়টি মসজিদের মাইকে প্রচার করলে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালালেও জোয়ারের পানির তোড়ে তা সম্ভব হয়নি।

বিকেল ৪টার দিকে ভাঙন ২০০ ফুটেরও বেশি ছাড়িয়ে যায়।
 
জোয়োরের পানিতে বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, কাকবসিয়া, বাসুদেবপুর,নয়াখালী ও চেঁচুয়া গ্রামে ঢুকে কয়েক হাজার বিঘার চিংড়িঘের ও বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সন্ধ্যার আগে বাঁধ সংস্কার সম্ভব না হলে পানি ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধের পার্শ্ববর্তী পিচের রাস্তা পার হয়ে খাজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে আশাশুনির সেকশন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top