আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব কূটনীতির মঞ্চে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে রাশিয়া, চীন এবং ইরানের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিন পরাশক্তির মিলিত পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
সম্প্রতি তিন দেশ যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে, যেখানে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, নৌবাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালানো হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মহড়া মূলত মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা পাঠানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বেশ কয়েকবার কৌশলগত বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। তাদের আলোচনা বৈশ্বিক বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর উপায় নিয়ে কেন্দ্রিত ছিল।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন, আর চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত। অন্যদিকে, ইরানও তার পরমাণু কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংঘর্ষে রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই তিন দেশের সম্মিলিত সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বিশ্ব ব্যবস্থায় আমেরিকার আধিপত্যকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তারা যদি শক্তিশালী সামরিক জোট গঠন করে, তাহলে তা মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ায় এই নতুন শক্তির প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত, মার্কিন সামরিক নীতিনির্ধারকরা রাশিয়া-চীন-ইরানের এই ক্রমবর্ধমান মৈত্রীকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।